Saturday, 10 April 2021

থিন কন্টেন্ট এবং লো ভেল্যু কন্টেন্ট কি?

Low Value Content


গুগল এডসেন্স ব্লগারদের কাছে একটি স্বপ্নের মত। বলতে পারেন অধিকাংশ ব্লগার এই গুগল এডসেন্স এর জন্য ব্লগিং শুরু করে। গুগল এডসেন্স একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটে গুগল এডস এর মাধ্যমে অর্ন করতে পারবেন। 

বর্তমান সময়ে গুগল You have another AdSense account বা Content Policy (Low Value Content)এর কথা বলে অনেক অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট করে দিচ্ছে। আমি আমার আরেকটি ব্লগে এডসেন্স এর এনাদার একাউন্ট সমস্যা টা কিভাবে সমাধান করবেন তা নিয়ে লিখেছিলাম।  এবং আজকের ব্লগ টি কনটেন্ট পলিসি নিয়ে। 

কন্টেন্ট পলিসি  এর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

  • মিনিমাম কনটেন্ট রিকোয়ারমেন্ট
  • ইউনিক ও হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট
  • থিন কন্টেন্ট

মিনিমাম কনটেন্ট রিকোয়ারমেন্ট কি?

একটা সময় ছিল গুগোল থিম এর ডেমো পোস্টেই এডসেন্স দিয়ে দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে গুগল তাদের পলিসি গুলোর দিকে নজরদারি বাড়িয়েছে। এখন ওয়েবসাইটে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কনটেন্ট না থাকলে গুগোল আর অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দেয় না। মিনিমাম কনটেন্ট রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ন্যূনতম কিছু কনটেন্ট রাখা। সংখ্যাটি বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন। তবে আমার মতে ৭০০ প্লাস শব্দের ন্যূনতম ১৫ টি কনটেন্ট থাকা জরুরী।

ইউনিক ও হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট কি?

ইউনিক কি আমরা সবাই জানি তারপরও বলছি। ইউনিক মূলত কপিরাইট মুক্ত। অর্থাৎ নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে লেখা কনটেন্ট। এবার আসি হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট কি?  হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট  হলো  ভালো মানের কনটেন্ট।  এমন কনটেন্ট যেটার  ডিমান্ড আছে এবং তথ্যগুলো সঠিক। যে কনটেন্ট পড়ে ইউজার উপকৃত হতে পারবে।

থিন কন্টেন্ট কি? 

কন্টেন্ট পলিসি ভায়োলেশন এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ থিন কন্টেন্ট। থিন কন্টেন্ট হচ্ছে এমন একটি কনটেন্ট যে কন্টেন্ট টি অনেক ছোট এবং ইউজারদের কাছে মূল্যহীন।  সহজ ভাষায় বলতে গেলে যে কনটেন্টের অনপেজ এসইও তে সমস্যা আছে এবং গুগলের কাছে মূল্যহীন।

থিন কন্টেন্ট সমস্যা টি কেন দেখা দেয়?

  • কম শব্দের কনটেন্ট। অর্থাৎ পোস্টে শব্দ সংখ্যা ৩৫০ টির কম।
  • অটোমেটিক্যালি জেনারেটর কনটেন্ট। অর্থাৎ যে কনটেন্ট টি আপনার লেখা নয়। আপনি গুগল ট্রান্সলেট বা অন্য কোন জেনারেটর থেকে কনটেন্ট জেনারেট করে নিয়েছেন। এ সমস্যা টি এড়াতে কমদামে কন্টেন্ট কিনা থেকে বির থাকবেন বা নিজে কন্টেন্ট লিখবেন।
  • অন্য একটি সোর্স থেকে কপি করা কনটেন্ট। কপি এবং পেস্ট এর মাধ্যমে অন্যের পুরো কনটেন্ট আপনার ওয়েব সাইটে ব্যবহার করা। মূল কনটেন্টটি আপনার না হলে আপনার নিজের বলে আপনার সাইটে চালিয়ে দিবেন না। তবে আপনি নিজের বলে দাবি না করলেও গুগোল ঠিকই ধরে ফেলবে কনটেন্ট টি আপনার নয়। আপনি অন্য কোথাও থেকে কপি করেছেন। 

মোটামুটি উপরোক্ত  বিষয় গুলোর কারণেই Low Value Content ইস্যু দেখিয়ে আপনার এডসেন্স অ্যাপ্লিকেশনটি রিজেক্ট করে দেয়। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের লো ভেলু কনটেন্ট ইস্যু এড়িয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে সহায়তা করবে। 

পোস্টটি ভালো লাগলে এবং নিত্য নতুন তথ্য বাংলায় জানতে বঙ্গ টেক এর সাথেই থাকুন।  আবারও দেখা হবে নতুন আরেকটি ব্লগে। ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন।

Thursday, 1 April 2021

ইন্টারনাল লিংক এসইও এবং ট্রাফিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন ?



আমরা সবাই জানি গুগল এর মধ্যে সাইট র‍্যাঙ্কিংয়ের এর অন্যতম মাধ্যম হলো কন্টেন্ট। কন্টেন্ট যত বেশি হবে গুগলে আপানার সাইটের লিংক তত বেশি ইনডেক্স হবে। 

গুগলের এর র‌্যাঙ্কিং কন্টেন্ট লেখার উপরও নির্ভর করে। গুগোল সব সময় চাই কন্টেন্টে এমন কিছু থাকুক যা ভিজিটর কে অন্য একটি পেজ দেখতে উৎসাহিত করবে। ইন্টারনাল লিংক এর মাধ্যমে আমরা সহজেই এই কাজটা করে ফেলতে পারি। তাই বেশির ভাগ ব্লগের এখন ইন্টারনাল লিংক এর ব্যবহার করা শুরু করেছে।


আমরা কেন ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করি?

  • ইন্টারনাল লিংক এসইও তে অনেক সাহায্য করে।

গুগলে সাইট র‌্যাঙ্কি করতে ইন্টারনাল লিংক অনেক উপকারী। যারা SEO নিয়ে কাজ করেন বা কিছুটা জানেন তারা বিষয় টি বুঝতে পারবেন।

  • ভিজিটর দের মধ্যে ট্রাস্ট এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়।

ইন্টারনাল লিংক ভিজিটরকে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারনা দেয় বা অনেক না জানা বিষয় জানতে সাহায্য করে। ধরুন আপনি স্যামসাং এর কোন ফোন সম্পর্কে রিভিউ দিচ্ছেন। এবং SUPER AMOLED ডিসপ্লে নিয়ে বলতেছেন। এখন আপনি সুপার এমোলেড কথা টা যদি সুপার এমোলেড সম্পর্কে লিংক করে দেন তাহলে ভিজিটর এর পুরো বিষয় টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এতে করে ভিজিটর দের ট্রাস্ট বেড়ে যাবে।

  • ইন্টারনাল লিংক ট্রাফিক বুস্ট করতে সাহায্য করে।

উধাহরন স্বরুপ আমার আজকের এর পোস্ট টি ব্লগার বা ওয়েবসাইট রিলেটেড। আমি যদি পোস্টের কোথাও আমার গত দিনের অ্যাডসেন্স নিয়ে লেখা পোস্ট করে দেই তাহলে মন্দ হয় না। কারন বেশির ভাগ ব্লগার দের প্রধান ফোকাস থাকে গুগোল অ্যাডসেন্স। এতে ভিজিটর ও তার প্রয়োজনীয় পোস্ট টি ভাবনার সাথে সাথে পেয়ে যাবে এবং আমি ও ভিজিটর পাবো। 

  • ওআন পেজ এসইও তে ইন্টারনাল লিংক এর ভুমিকা সব চেয়ে বেশি।

যারা ওয়ার্ডপ্রস ইউজার এবং Yoast এসইও ব্যবহার করেন তারা অনেকে হয়তো বিষয় টা জানেন। ইন্টারনাল লিঙ্ক ছাড়া ওয়ান পেজ এসইও সম্ভব নয়।

  • ইন্টারনাল লিংক ক্রল এবং ইনডেক্স এ সহায়তা করে।

গুগল বট গুলো ব্যবহার কারীর চিন্তা ভাবনার উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা। গুগোল যখন দেখে পোস্টে অনেক লিংক আছে তখন গুগল তাড়াতাড়ি সেটা ইনডেক্স করে নেয়, কারন ওই পোস্ট ভিজিটর দের অন্য বিষয় জানতে বা অন্য পেজে যেতে উৎসাহিত করে।


পোস্ট এর মধ্যে ইন্টারনাল লিংক কিভাবে সেট করবেন?

ইন্টারনাল লিংক দুই ভাবে সেট করা যায়। চলুন দেখে আসি কিভাবে সেট করেঃ

  • এক, ম্যানুয়ালী সেট করতে চাইলে যে টেক্সট তা তে লিংক দিতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করে Ctrl+K প্রেস করলেই নিচে লিংক বক্স আসবে। সেখানে ওই নির্দিষ্ট লিংক দিয়ে Enter প্রেস করলেই হয়ে যাবে। ব্লগার এর ক্ষেত্রেও সেম, Ctrl+k প্রেস করলে একটা পপ আপ উইন্ডো আসবে। সেখানে লিঙ্ক দিয়ে Enter প্রেস করলেই হয়ে যাবে। 
  • দুই, আপনি চাইলে খুব সহজেই টেক্সট সিলেক্ট করে নিচের স্ক্রিনশট এ দেখানো চিহ্ন তে ক্লিক করে লিংক এড করতে পারবেন। ব্লগার এর ক্ষেত্রেও একই ভাবে করা যাবে।
Internal Link for SEO


আশাকরি পোস্ট টি আপনার ভালো লেগেছে। নিত্য নতুন  এমন টেক ব্লগ পড়তে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। আজ এখানেই শেষ, ধন্যবাদ।